Thursday, 27 June 2019

বড় দীর্ঘ  বসন্ত।
ঋতু পরিবর্তন শহরের সয় না।
শহুরে শরীরের ভেতর সময়ের জাঁতাকল প্রতিনিয়ত রক্ত মাংস গুলো পিশে দলা পাকিয়ে দেয়।
শহুরে মন বড় অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
চোখ কান বন্ধ করে কোনোমতে সারাটা দিন কাটাতে পারলেই আসে রাত।
শহুরে মনের বড় আকাঙ্ক্ষিত এই রাত।
নিয়ন আলো জ্বলে ওঠে আনাচে কানাচে,
সে আলো চোখে লাগে না,
লাগে কালো আকাশে লালচে নেশা।
চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে আলতো কোলাহল,
শহুরে মানুষের খুব প্রিয় এই অভ্যস্ত কানাঘুষো।
ভৌগলিক ব্যাখ্যায় শহরের বুকে সারাক্ষণ চলে হাওয়ায় হাওয়ায় টানাপোড়েন।
একটু নোনতা আর একটু এলোপাথারি ভাবনা।
বড় বড় হোর্ডিং বোর্ড এ শহরের হাসি খুসি মুখ।
বিজ্ঞাপনে রঙিন ভালোবাসা এলোমেলো।
দিন পাল্টায় কিন্তু শহুরে প্রেম পাল্টায় না।
যখন চরম উপেক্ষার মোড়কে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা,
তখনও এ শহর শুধু ফাল্গুনে বিশ্বাসী।। 

Monday, 24 June 2019

সূর্য অস্ত্য গেছে বেশ কিছুক্ষণ আগে, ঘড়ি বলছে।
আকাশের গায়ে এখন নানা রঙের মেলা হওয়ার কথা।
কিন্তু তুমি বললে বলেই অত রঙ খরচ না করে শুধু নীল আর সাদা এনেছি সাথে। 
আজ কি বিশেষ কোনোদিন! না কি তোমার মন খারাপ! আমায় সাদা
রঙ আনতে বললে কেন! এবার তো রাত নামবে, ঘড়ি বলছে, 
তাহলে কালো রঙটাই ভালো মানাতো না?!
এইসব এটা ওটা ভাবতে ভাবতে কখন যে পরতে পরতে নীল এঁকেছি খেয়ালই করিনি।
 চোখে আলো লাগায় হুঁশ ফিরল যখন, 
দেখি তুমি তারা জ্বেলে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছো। ঘড়ি বলছে
রাত নেমেছে অনেক্ক্ষণ আগে। 
তোমার চোখে চোখ রেখে গড়গড় করে বলে ফেললাম, “আজ কি? 
বাকি রঙ গুলো যে বাকি পড়ে গেল! আমি তো শুধু নীল আঁকলাম তোমায় জুড়ে!”
তুমি তারার আলোটা দূরে সরিয়ে রেখে বললে, “আমি তো আকাশ নই, অত রঙে আমার কাজ কি!
তোমার সাজানোতেই আমার তৃপ্তি”।
রাতের অন্ধকারেরও যেন একটা গোধুলী রঙ হয়। ভেজা পাথরের বুকেও নিবিড় উষ্ণতা থাকে।
গাঢ় নীলে ডুবে যেতে যেতে হঠাৎ থমকে গেলাম, ঘড়ি বলছিল কিছু..
আবারও তোমার চোখে চোখ রেখে বললাম, “আলো নিভে গেছে সেই কখন! এবার আমার যেতে হবে যে,
সাদা রঙটার কি করব তবে?”
তুমি বললে, “ওটা তোমার জন্য, যখন আমার কাছে থাকো সাদা রঙটা তোমায় মানায় ভালো”।
হাসি পেল, “সাদা আবার রঙ নাকি, ওতো রঙের অভাব!”
তারার আলোটা আরও কিছুটা দূরে সরিয়ে দিয়ে আমার খুব কাছে সরে এসে বললে, “বেশ তো, তাই তো ভালো”।…
ফেরার পথে মনে হল, সত্যিই তো আজ ছিল বিশেষ দিন, দৈনন্দিন।।