সূর্য অস্ত্য গেছে বেশ কিছুক্ষণ আগে, ঘড়ি বলছে।
আকাশের গায়ে এখন নানা রঙের মেলা হওয়ার কথা।
কিন্তু তুমি বললে বলেই অত রঙ খরচ না করে শুধু নীল আর সাদা এনেছি সাথে।
আজ কি বিশেষ কোনোদিন! না কি তোমার মন খারাপ! আমায় সাদা
রঙ আনতে বললে কেন! এবার তো রাত নামবে, ঘড়ি বলছে,
তাহলে কালো রঙটাই ভালো মানাতো না?!
এইসব এটা ওটা ভাবতে ভাবতে কখন যে পরতে পরতে নীল এঁকেছি খেয়ালই করিনি।
চোখে আলো লাগায় হুঁশ ফিরল যখন,
চোখে আলো লাগায় হুঁশ ফিরল যখন,
দেখি তুমি তারা জ্বেলে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছো। ঘড়ি বলছে
রাত নেমেছে অনেক্ক্ষণ আগে।
তোমার চোখে চোখ রেখে গড়গড় করে বলে ফেললাম, “আজ কি?
বাকি রঙ গুলো যে বাকি পড়ে গেল! আমি তো শুধু নীল আঁকলাম তোমায় জুড়ে!”
তুমি তারার আলোটা দূরে সরিয়ে রেখে বললে, “আমি তো আকাশ নই, অত রঙে আমার কাজ কি!
তোমার সাজানোতেই আমার তৃপ্তি”।
রাতের অন্ধকারেরও যেন একটা গোধুলী রঙ হয়। ভেজা পাথরের বুকেও নিবিড় উষ্ণতা থাকে।
গাঢ় নীলে ডুবে যেতে যেতে হঠাৎ থমকে গেলাম, ঘড়ি বলছিল কিছু..
আবারও তোমার চোখে চোখ রেখে বললাম, “আলো নিভে গেছে সেই কখন! এবার আমার যেতে হবে যে,
সাদা রঙটার কি করব তবে?”
তুমি বললে, “ওটা তোমার জন্য, যখন আমার কাছে থাকো সাদা রঙটা তোমায় মানায় ভালো”।
হাসি পেল, “সাদা আবার রঙ নাকি, ওতো রঙের অভাব!”
তারার আলোটা আরও কিছুটা দূরে সরিয়ে দিয়ে আমার খুব কাছে সরে এসে বললে, “বেশ তো, তাই তো ভালো”।…
ফেরার পথে মনে হল, সত্যিই তো আজ ছিল বিশেষ দিন, দৈনন্দিন।।
No comments:
Post a Comment