Wednesday, 27 November 2019

সাধারণ একটা ভোর..

নিছক সাধারণ একটা ভোর..

ভালোবাসা যেন হালকা পালকের মত মেঘ,
ঢেকে থাকবে গায়ে, অথচ
সহজে বোঝা যাবে না - 
আছে কিন্তু নেই, নাকি নেই তবু আছে!
চোখে চোখ রাখলেই দূর থেকে ছুটে আসবে
একদল বেখেয়ালি হাওয়া - 
আর হাওয়ার ধর্মই যা, ঘিরে রাখবে
অদৃশ্য আঁচলের মত।
আরও কাছাকাছি আসলেই, সারা শরীরে 
সূক্ষ্ম তড়িৎ প্রবাহ - 
ঠিক লতানো গাছের মত জড়িয়ে ধরবে
হাতের আঙুল, কাঁধ, গলা - তারপর -
ঠোঁটে ঠোঁট রাখলেই হবে সূর্যদয়।
আকাশের কাছাকাছি  লালচে দীগন্তে তখন
মুশলধারে বৃষ্টি নামবে...

আর ভেজা মাটিতে  স্যাঁতসেঁতে সকালে 
কুয়োর ব্যাঙগুলো  জানতেও পারবে না,
মেঘেদের ওপারে অন্য একটা  আকাশে 
দুটো মানুষ কি ভীষণ ভাবে 
দুজনের প্রেমে পড়ে গেছে।।

Sunday, 10 November 2019

ঘর

আমার একটা ঘর আছে এই সংসারে।
বুকের কাছের বড়ো আপন সে ঘর,
ঠিক যেমনটা সবার থাকে।
সেই ঘরে নীল আকাশ থাকে, 
সবুজ ঘাসের মাঠও থাকে।
শান্ত স্নিগ্ধ হাওয়া থাকে, 
মিষ্টি ফুলের গন্ধ থাকে। 
রামধনু রঙ স্বপ্ন থাকে। 
একটাই ঘর, 
যে ঘরে ভালোবাসার ভরসা থাকে। 
ঘরের কোনো দেয়াল নেই, নেই 
জানলা দরজা খোলা বন্ধের ঝুট ঝামেলা।
আমার সে ঘরে যদি কারোর চোখের মায়া থাকে, 
তবে তোমার ঘরে হয়ত অন্য কারো হাসির মেলা।
ঘরটা বুঝি পাহাড় কোলে, সাগর ঢেউয়েও হতে পারে। 
কিংবা রঙিন তুলির টানে মেঘের দেশে। 
হতেও পারে সে ঘর কোনো ব্যাকুল সুরে, ভিন শহরে।
ঘরটা বুঝি স্মৃতি বোঝাই, খড় আর কুটো।
ঘরটা বুঝি ইচ্ছেডানা।
কারো মনের গলি পথে, হয়ত ঘরের শেষ ঠিকানা।
সে ঘর ভীষণ দরকারি যে, সে ঘর ছাড়া বৃথাই বাঁচা।
বিশ্ব ভুবন পাড়ি দিলেও মন পাখিটার ওটাই খাঁচা।
সবার মতই আমারও একটা ঘর আছে যে,
বড্ড আপন, বড্ড কাছের একখানা ঘর -  
এ সংসারে।

Saturday, 9 November 2019

একটা নতুন সকাল হবে।
কিছু চেনা পাখির ডাকে, কিংবা alarm clock এর দাবড়ানিতে।
সকাল হবে বাড়ির ছাদে।
সকাল হবে বনসাই এর পাতার ওপর 
নরম আলোর আলতো ছোঁয়ায়।
পূর্ব দিকের জানলা গোলে ।
সারা রাতের স্বপ্ন গুলো হুরমুরিয়ে 
বেড়িয়ে যাবে।
রোজের মতই।
ঠোঁটের কোণায় অল্প হাসির সকাল হবে।
মন খারাপ আর মন ভালোতে এক কাপ চা,
things to do এর লিস্টি হাতে,
ভিড় রাস্তার traffic rule এ সকাল হবে।
নিয়ম মাফিক জীবনযাত্রা, শ্বাসকষ্টে, গলদঘর্মে,
সকাল হলেই বেঁচে ওঠার আরও একটা সুযোগ পাবে। 
নতুন একটা রাস্তা খোঁজার মহাজাগতিক  চাহিদাতে সকাল হবে।
সকাল হবে পাঁজর চিড়ে, বুকের বাঁ দিক ঘেঁষে, 
চিকণ সুতোর রুমাল মোড়া জীবনটাকে মুঠোয়  ধরে।
আকাশ জোড়া শান্ত নীলে, 
তোমার আমার সুখ দুঃখের লালচে আভায় কালকে আবার সকাল হবে।।




 




Thursday, 7 November 2019

।। লীলা।।

আবার সেই হাতছানিটা।
শুকনো আকাশ যেই শোনে আমরা দুজন দেখা করব,
অমনি কেমন ঘন নীল বা কালো মেঘে সেজে গুজে চলে আসে ঠিক, সঙ্গ নিতে।
বৃষ্টির আর দোষ কি বল, আমিই বোধহয় বর্ষা লগ্নে জন্মেছিলাম।
হাতের কাছে ছাতা রাখিনা সেটা আমারি বাহাদুরি।
আবার সেই বুক ঢিব ঢিব ভাব, পেটের ভেতর মেঘ গুড়গুড়,... ওই অবধি থাক।
 বজ্রাঘাত তো অনেক হল এক জীবনে।
এখন শুধু ভেজা মাটির গন্ধ থাকুক গভীর মনে।
কিন্তু প্রশ্ন হল,  দেখা আমরা করব কোথায়?!
সেই পুরনো ফুল গাছটা আর নেই যে এ চত্তরে।
নদীর জল শুকিয়ে গেছে,  অনেকদিনই।
নৌকা চড়া অসম্ভব, আর দিঘির ধারে, বহুতলের ঠেলাঠেলি।
আমাদের মধ্যিখানে বহুযুগ যেন কেটে গেছে, এক পলকে।
কেইবা জানতো সেই দুজনে দেখা করার স্বপ্ন দেখব জনান্তিকে।
আবার যখন ডাক পাঠালি, শুনতে পেলাম আমিও যখন কপাল জোরে ,
 তখন যায়গা খোঁজা কঠিন কি কাজ!
সময় যখন গড়িয়ে গেছেই অনেকখানি,
শহরে এখন আমরা যেন বড্ড বেশি বেমানানই।
চল তবে যাই অনেকদূরে, এমন কোথাও দুজনের যেন নতুন লাগে।
একটুখানি হাতছানিতে, সব ছাড়িয়ে নিরুদ্দেশে।
আবার যখন দেখাই হবে,
ক্ষতি নেইতো যদি হারিয়েই যাই আরও একবার ভালোবেসে।।