একদিন সকালে হঠাৎ করেই
সূর্য ওঠার ঠিকআগে, সব পাখিরা
একসাথে বসেছিল আমার বাড়ির বারান্দা।
ডেকেছিল নানা সুরে।
সুতরাং নির্দিষ্টসম্যের আগেই ঘুম ভেঙেছিল।
তাই পুরো গল্পটা শেষকরা হয়নি।
ঐ যে সেই গল্পটা, যেটা সারা রাত অল্প অল্প করে
তুই আর আমি লিখছিলাম...
যে গল্পটা একই চোখের পাতায় দুজনে একসাথে
দুরকম কালিতে রোজ রাতে লিখতে বসি।
নানারকম অনুভূতি অভিজ্ঞতায় ভরিয়ে তুলি
রাত্রি ভরা চুপকথা...
কিন্তু একদিন মাঝ পথেই থামাতে হল
আমাদের গল্প লেখা, ঐ যে পাখি গুলো ডেকে উঠেছিল!
কি ছিল সেদিনের সেই শেষনা হওয়া গল্পে? মনে নেই,
শুধু মনে একটা ফাঁকা জায়গা খাঁ খাঁ করে পড়ে আছে।
খালি মনে হয়, অনেক কিছু লেখার ছিল,
পুরোটা সময় পেলে হয়ত শেষটায় অসাধারণ কিছু
বলা বা করা যেত!
মনে হয়, ঐ একদিনটা যদি পাওয়া যেত, তাহলে
বোধহয় ঐ গল্পটাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দুজন
অমরই হয়ে যেতাম।
এখন রুক্ষ গরম হাওয়া কাঁধে শুকনো পাতা গুলো
রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দীর্ঘশ্বাস ফেলে
উড়ে যেতে যেতে বলে যায়, 'গল্পটা শেষ হয়নি এখনো!'
হলুদ চাঁদটা করুণ মুখে নারকেল গাছের পাতা ধরে
ঝুলতে ঝুলতে বলে, ' শেষটা হয়ত সত্যিই সুন্দর হতে পারত!'
মূল কথা হল, সেইদিনটা ঠিক কবে ছিল, মনে নেই।
মনে নেই, সেই গল্পটাই বা কি ছিল।
শুধু মনে আছে, আমাদের একসাথে লেখা
একটা গল্প এখনো অসমাপ্ত পড়ে আছে...