একটা শাড়ী দিও আমায়?
ঘন নীল তার জমি আর সোনালী জরি বোনা সরু তার সীমানা।
সুতি না রেশম?- সে তোমার যা খুশি,
শুধু খেয়াল রেখো, শাড়ীটা গায়ে দিয়ে যেন আমার তোমায় মনে পড়ে।
প্রথম প্রথম যত্নে রাখব তুলে, কথা দিচ্ছি।
পরিপাটি হবে প্রতিটা ভাঁজ, শাড়ীর সাথে একটু বেশি সাজ।
শুধু সখের অনুষ্ঠানেই গায়ে তুলব।
তারপর ধীরে ধীরে পাল্টাবে সব।
শাড়ীর চকচকে, খসখসে ভাব কোমল হবে আরও।
এদিক ওদিক নাছোড়বান্দা কিছু দাগ পড়বে,
শৌখিন নীল জমি ধীরে ধীরে আটপৌরে হবে।
সূক্ষ্ম সোনালী সুতোয় অনাকাঙ্ক্ষিত কয়েকটা টান, আসবে একটু যেন খাপছাড়া ভাব।
তুলে রাখা শাড়ী হবে দৈনন্দিন।
সখ হবে প্রাত্যহিক জীবন যাপন।
একটা এমন শাড়ী দিও আমায়,
যেটা ছাড়া, আমার শীত গ্রীষ্ম বর্ষা হবে না মনের মত।
কুটনো কাটার সময় ভেজা হাত, রান্নার বাড়তি হলুদ বা তেল মাখা হাত,
সেই শাড়ির আঁচলে না মুছলে আমার ভাত হজম হবে না।
এমন শাড়ী, যেটার নীল জমি আর সোনালী পাড়, যখন আমার বাড়ীর বারান্দায় রোদ পোহাবে, তখন সামনের বাড়ীর মেয়েটা যেন তার স্বপ্ন আঁকতে পারে আমার দৈনন্দিন শাড়ীর গায়ে,
পাশের বাড়ীর ছেলেটা যেন দুচার লাইন কবিতা লিখতে পারে তার নীল কালির সোনালী নিবের পেন দিয়ে।
এমন একটা শাড়ী দিও, যেটায় আমি তোমায় দেখতে পাব।
একটু নতুন, একটু যেন পুরোনো ধরন,
আমার গন্ধে মানানসই হবে, আমার দুঃখ গুলো রাঙিয়ে দেবে,
আমায় একটা শাড়ী দিও
ঠিক তোমার মত
আমায় একটা সুখ দিও।।
No comments:
Post a Comment